বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল, কুমারখালী উপজেলা শাখার নব-নির্বাচিত আহবায়ক কমিটির পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকাল ১১টায় কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। কুমারখালী উপজেলা শাখার আহবায়ক কমিটির যুগ্ম-আহবায়ক আব্দুর রাজ্জাক বাচ্চুর সভাপতিত্বে সদস্য সচিব এ্যাড. শাতিল মাহমুদের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি বীরমুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, কুমারখালী পৌর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক আল কামাল মোস্তফা, সদস্য সচিব হাজী মনোয়ার হোসেন, কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার সামসুজ্জাহিদ। বক্তব্য রাখেন, কুমারখালী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক ওহিদুল ইসলাম সাবু, নুরুল ইসলাম আসাদ, আমিরুল ইসলাম, গোলাম সরোয়ার বিশ্বাস, মহম্মদ আলী, আহবায়ক কমিটির সদস্য মোঃ ইউসুফ আলী মোল্লা, সিরাজ উদ্দিন খান, মোঃ গোলাম আজম, ফেরদৌস খন্দকার পরাগ, জিয়াউর রহমান জিয়া, আকমাল হোসেন, আজাদ আলী, ঝন্টু বিশ্বাস, সেলিম রেজা মন্ডল, আব্দুল হান্নান, ইসলাম শেখ, মোঃ ওসমান, আব্দুল মজিদ, মোঃ আব্দুল্লাহ, মোঃ আক্কাস আলী, আব্দুস সালাম মন্ডল, আব্দুর রাজ্জাক, মোঃ কামাল উদ্দিন বিশ্বাস, জাকির হোসেনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী বলেন, সরকারের এগারো দফা বিধিনিষেধ মানুষের জীবন রক্ষা করতে জারি করা হয়নি। জার্মান ভিত্তিক ডয়েচে ভেলের সার্ভেও ৮৮ শতাংশ মানুষ মতামত দিয়েছে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বাধাগ্রস্ত করার একটি কৌশল মাত্র। জনগণ যদি মনে করে এটা সরকারের অপকৌশল, তাদের মতামত আমাদের পক্ষে আছে। এখন সরকারের এই বিধিনিষেধ মানতে হবে এমন কোনো কথা নেই। এখন সরকার যে কৌশলই করুক তারা ব্যর্থ হবে; কারণ এখন সরকারের ব্যর্থ হওয়ার সময়। আর বিএনপি তার কৌশলে সফল হবে। কারণ, এখন বিএনপির সফল হওয়ার সময়। যেখানে জেলা সমাবেশ বন্ধ করা যায়নি, ১৪৪ ধারা দিয়েও জনগনকে রুখতে পারা যায়নি। সুতরাং এ ধরনের বিধিনিষেধ দিয়ে আন্দোলন বন্ধ করা যায় না। আল্লাহর রহমত আছে বলেই গণতন্ত্রের মাতা বেগম খালেদা জিয়া বেঁচে আছেন। অবিলম্বে দেশনেত্রী, বিএনপির চেয়ারপার্সন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও বিদেশে নিয়ে সুচিকিৎসার দাবি জানান। পরিচিতি সভা শেষে দেশনেত্রী, গণতন্ত্রের মাতা, সাবেক প্রধানমন্ত্রী, বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া, কুমারখালী উপজেলা বিএনপির আহবায়ক লুৎফর রহমান, যুগ্ম-আহবায়ক আবুল কালাম আজাদ, যুগ্ম-আহবায়ক খন্দকার আতিকুজ্জামান আলমগীরেরসহ ধর্মিনীর রোগ মুক্তি কামনা করে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।