ডেল্টা ভেরিয়েন্টের ভয়াবহতার জন্য অন্যান্য মিউটেশন এর সাথে টি ১৯ আর মিউটেশন একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এ কারণে এ ভাইরাস শ্বাসতন্ত্রের উপরিভাগে ঠিক ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের মতো উৎপাদন করার সুয়োগ পেয়েছে বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত বিজ্ঞানী সিঙ্গাপুরের নাগরিক ড. বিজন কুমার শীল। শনিবার ঢাকার ধানমন্ডি গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল ভবনের সভাকক্ষে গণ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক আয়োজিত ডেল্টা ভেরিয়েন্ট এর ভয়াবহতা এবং এর থেকে বাঁচার সম্ভাব্য উপায় শীর্ষক এক ওয়েব সেমিনারে এ দাবি করেন তিনি। গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. বিজন কুমার শীল বলেন-ডেল্টা ভাইরাসের সাথে ফ্লু ভাইরাসের যথেষ্ট মিল রয়েছে এবং খুব দ্রুততম সময়ের মধ্যে ছড়ায় বিধায় একজন পরিবারের কেউ আক্রান্ত হলে বাকি সবাই আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ ভাইরাসের ভয়াবহতা রোধে কেউ একজন আক্রান্ত হলে তার নিকটজন সবাইকে পরীক্ষা করতে হাঁচি, কাশি দেয়ার সময় অবশ্যই কাপড় বা টিস্যু ব্যবহার করতে হবে। নিয়মিত মাস্ক পরিধান এবং ভ্যাকসিন গ্রহণের কোনো বিকল্প নেই বলে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, পরীক্ষার ফলাফল পজিটিভ হলেই চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। শ্বাসকষ্ট শুরু হলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হবো এই মানসিকতা পরিহার করতে হবে। ডেল্টা ভাইরাসের চিকিৎসার মতো ড্রাগস্ বিশ্ববাজারে বিদ্যমান আছে। এছাড়া জিংকের সমন্বয়ে তৈরি ভিটামিন সি গ্রহণ ডেল্টা ভাইরাস প্রতিরোধের অন্যতম দাবি করে বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশেও এ ধরণের ভিটামিন উৎপাদন ও বাজারজাতকরণে অনুমোদন দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন পূর্ব এশিয়ায় সার্স প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা এই বিজ্ঞানী। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ডা: লায়লা পারভীন বানুর সভাপতিত্বে ওয়েব সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে অংশ নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক এ কে আজাদ চৌধুরী এবং দেশের অন্যতম শীর্ষ ভাইরোলজিস্ট অধ্যাপক ডা: নজরুল ইসলাম। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. এস. তাসাদ্দেক আহমেদ এবং গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিক্যাল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা: মুহিব উল্লাহ খোন্দকার এ সময় উপস্থিত ছিলেন।