কুষ্টিয়ার খোকসার গ্রামে সামাজিক কোন্দলে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপ প্রতিপক্ষের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে। বুধবার রাতে শুরু হয়ে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত চলা এসব ঘটনায় ১০ জন আহত হয়েছে। ঘটনায় তিনটি মামলা হয়েছে। পুলিশ বলছে, তারা দুই পক্ষের ১৮ জনকে গ্রেফতার করেছে। খোকসা থানার ওসি কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, পূর্ব বিরোধের জের ধরে উপজেলার কোমরভোগ গ্রামের আওয়ামী লীগের নেতা ইউপি সদস্য জাবেদ আলী ও সাবেক মেম্বার মো. নয়ন এর লোকদের মধ্যে প্রথমে বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে একপক্ষ প্রতিপক্ষের লোকদের বাড়িতে হামলা চালালে পরবর্তীতে তারাও পাল্টা হামলা করে। এসব হামলার সময় দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র ব্যবহার হয়। এ ঘটনায় শাজাহান আলী (৪৫), আমিরুল ইসলাম (৪০), তুহিন (২৩), মুন্নু (৬০), সাইখুল ইসলাম (৪২) সহ দুই পক্ষের ১০ নারী পুরুষ ও শিশু আহত হয়েছেন। শাজাহানের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে রাতেই কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। দুই পক্ষের হামলা পাল্টা হামলায় অন্তত ১৩ বাড়ি ও দোকান ভাংচুর হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে রাতেই ২ প্লাটুন পুলিশ মোতায়েন করা হয়। পুলিশি অভিযানে বুধবার রাতে ও বৃহস্পতিবার সকালে অন্তত ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় ৩টি মামলায় ৯০ জনকে আসামি করা হয়েছে। গ্রেপ্তার ১৮ জনকে চালান দেয়া হয়েছে। প্রতিপক্ষে নেতা নয়নের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, সামাজিকভাবে উভয় গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবৎ দ্বন্দ্ব চলে আসছে। তারই জের ধরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ গন্ডগোলের এর সূত্রপাত। তবে লিটন মাষ্টারের সাথে কথা বলা হয়। তিনি ঘটনা সম্পর্কে জানেন না বলে দাবি করেন। এদিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বাবুল আক্তার জানান, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হলেও মূলত এটা সামাজিক কোন্দল।