কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ ফোরলেন মহাসড়কের পশ্চিম পাশদিয়ে সড়ক বিভাগের বাস্তবায়নে নির্মানাধীন ড্রেনের নির্মান কাজ বন্ধ হওয়ার প্রতিবাদ এবং দ্রুত নির্মান সম্পন্ন করে ভোগান্তি নিরসনের দাবিতে মানব বন্ধন করেছে এলাকাবাসী। বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় শহরতলী কুমারগাড়া এলাকায় শতাধিক নারী-পুরুষ এলাকাবাসী এই কর্মসূচীতে দাড়িয়ে তাদের ভোগান্তির চিত্র তুলে ধরেন। এসময় তারা অভিযোগ করেন, ৭দশক ধরে রেকর্ডীয় সরকারী নয়নজলী জমির উপর নির্মিত মহাসড়কের আংশিকের মালিকানা দাবি করে হঠাৎ এক ভুয়া মামলাবাজের খপ্পরে আটকে গেছে ড্রেনের নির্মান কাজ। স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর এজাজ আহমেদ বলেন, সড়ক বিভাগ এই ড্রেন নির্মানের জন্য প্রয়োজনীয় পরিমান জমিও ইতোমধ্যে স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকেই অধিগ্রহণ করে সেই জমির উপর ড্রেন নির্মান করছেন। বিদ্যমান অবস্থায় মহাসড়ক ও এলাকাবাসীর বাড়িঘরের মাঝখানে গভীর গর্ত হয়ে থাকায় যাতায়াতে চরম ভোগান্তির মুখে পড়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা। অবিলম্বে এই ভোগান্তির নিরসনে সং্িশ্লষ্ট সড়ক বিভাগের কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহনের দবি করছি। কুমারগাড়া এলাকার স্থানীয় কলেজ ছাত্রী সুমাইয়া ইয়াসমিনের অভিযোগ, গত দুইদিন পূর্বে পাশের বাড়ির এক প্রসুতি বোনের প্রসব বেদনা উঠলে জরুরি হাসপাতালে নেয়ার চেষ্টাকালে ওই ড্রেনের গর্ত পার হতে গিয়ে দুর্ঘটনায় ওই প্রসুতি বোনটির অবস্থা আশঙ্কাজনক আহত হন এবং তার গর্ভের শিশুটিকে জীবিতাবস্থায় পৃথিবীর আলো দেখাতে পারেননি। হাসপাতালে চিকিৎসাধন প্রসুতি মা বেঁচে থাকলেও শিশুটিকে বাঁচানো গেলো না। চিকিৎসকরা বলেছেন আঘাত জনিক কারণে দ্রুত পানিশুন্যতায় শিশুটির মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। এই দায় কার ? কুষ্টিয়া সড়ক ও জনপথ বিভাগের এই নির্মাণ কাজে সংশ্লিষ্ট উপবিভাগীয় প্রকৌশলী পিয়াস কুমার সেন বলেন, কুষ্টিয়া মজমপুর গেইট জিরো পয়েন্ট থেকে বটতৈল পর্যন্ত ৪কি:মি: ডাবল লেনের সড়কটি ফোর লেনে উন্নীতকরন, রাস্তার মাঝখানে বিভাজন ও উভয় পাশ দিয়ে ১দশমিক ৮৩মিটার উচ্চতা, ১দশমিক ৫মিটার প্রস্থের ড্রেন নির্মান কাজ চলমান রয়েছে। একাজটি সম্পন্ন করতে নির্মান চুক্তি অনুযায়ী ১৪১ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। কাজটি চলছিলোও কিন্তু হঠাৎ করে এক ব্যক্তি মামলা জনিত কারণে নির্মান কাজটি থেমে গেছে। কুষ্টিয়া সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: শাকিরুল ইসলাম জানান, আইনী জটিলতার কারণে মজমপুর থেকে বটতৈল পর্যন্ত কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহা সড়কের ৪কি:মি: রাস্তাার উভয় পাশে নির্মানাধীন ড্রেনের কাজটি কিছুদিন বন্ধ রয়েছে। খুব শীঘ্রই সৃষ্ট জটিলতা কাটিয়ে ড্রেন নির্মান সম্পন্ন করতে পারবো বলে আশা করছি।