কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হরিনারয়নপুরের পূর্ব আব্দালপুরে পুকুর খননের নামে কয়েক বছর ধরে চলছে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনের মহোৎসব। ড্রেজার মেশিন ও স্যালো ইন্জিনের সাহায্যে পুকুর খননের নামে মাটির নিচ থেকে বালি উত্তলন করে দেদারছে বিক্রি করার পাশাপাশি পাশের জমিতে বালির স্তুপ করে রাখা হচ্ছে। ড্রেজার মেশিন দিয়ে গভীর খনন করে বালি উত্তোলন নিষিদ্ধ হলেও আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে গত কয়েক বছর ধরে প্রকাশ্যে এ অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে হরিনারায়পুরের কালি নদীর কোল ঘেষা পূর্ব আব্দালপুর গ্রামের শশ্মান ঘাট এলাকার ভূমি মালিক উজির মিয়া ও তার সহযোগী একই এলাকার গোলাম নবীর ছেলে নুরুন্নবী, আতিয়ারের ছেলে লাল্টু,নাজমুল,কলম ও ইলিয়াস নামের তিন ব্যাক্তি।এতে করে হুমকির মুখে পড়েছে আশপাশের কয়েক একর ফসলি জমি।তাছাড়া বছরের পর বছর ধরে এভাবে অবৈধ বালু উত্তোলনের ফলে বিপুল টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। সরেজমিনে দেখা যায়,আব্দাল পুর মহাশ্মশান ঘেষা ঐ জমিতে পুকুর কাটার নামে দু তিনটি স্যালো ইন্জিনের সাহায্যে বালু উত্তলোন করে পাহাড়সম স্তুপাকারে রাখা হচ্ছে। যা মিনি ট্রাক ও ট্রাক্টরের সাহায্যে বিভিন্ন স্থানে চড়া দামে সরবরাহ করা হচ্ছে।
জানা যায়, কতিপয় কিছু প্রভাবশালী ব্যাক্তির নাম ভাঙ্গিয়ে, পুকুর খননের নামে মাটির নিচ থেকে গভীর খনন করে বালি উত্তোলন করে দেদারছে বিক্রি করার পাশাপাশি পাশের জমিতে বালিরস্তুপ করে রাখছে তারা । প্রভাবশালীদের ভয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বেশ কয়েকজন ভুমি মালিক অভিযোগ করে বলেন গোলাম নবীর ছেলে নুরুন্নবী, আতিয়ারের ছেলে লাল্টু,নাজমুল,কলম ও ইলিয়াস নামের এসব চিন্হিত বালু দস্যুরা প্রতিদিন প্রায় অর্ধশত ট্রাক বালু উত্তোলন করছে এ জমি থেকে। ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধ ভাবে ফসলি জমিতে বালি উত্তোলন নিষিদ্ধ হলেও এ আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে গত এক বছর ধরে নির্বিঘ্নে প্রকাশ্য এ অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে তারা। এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট কারোই যেন কোন মাথা ব্যাথা নেই। তাছাড়া বেশ কয়েক দফা স্থানীয় ভূমি অফিসে অভিযোগ করেও কোন সুফল মেলেনি তাদের । ড্রেজার মেশিন দিয়ে পুকুর খননের নামে, গভীর খনন করে বালি তোলার ফলে ভূগর্ভস্থ মাটির ক্ষতি হওয়ার পাশাপাশি বালির স্তপের বালি উড়ে ও বিক্রি বালি বিভিন্ন স্থানে নেওয়ার ফলে ফসলি জমিতে পড়ে ফসলের ক্ষতি হওয়া সহ মানুষের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। এনিয়ে বেশ কয়েক দফা জেলা প্রশাসনকে লিখিত ভাবে অবহিত করেছেন বলে জানিয়েছেন হরিনারায়ণপুর ভূমি অফিসের দায়িত্বরত তহশিলদার। তবে এনিয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন। এদিকে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জুবায়ের হোসেন জানান,উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এদের ব্যাপারে নিয়মিত অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এ অবস্থায় জেলা প্রশাসনের সু দৃষ্টি কামনা করছেন স্থানীয়রা।