একদা এক বট গাছে বাসা বেধেছে ঘুঘু পাখি।বেশ উচু ডালে একটা ছোট্ট বাসায় দুই ঘুঘুর ছানাকে নিয়ে মা ঘুঘুর সুখেই কাটছিল দিন।রাস্তার ধারে বট গাছে সুন্দর একটা পরিবেশে থাকে তারা।ঘুঘুর ছানা দু’টি এখন প্রায় উড়তে শিখেছে শরীরে পালক সহ দু’খানা পাখা হয়েছে।একদিন সকালে মা ঘুঘু যাবে আহার সংগ্রহের জন্য।পাশের গঞ্জে সরষে েেত মই পড়েছে সেখানে অনেক খাবার হবে।মা ঘুঘু ছানা দু’টিকে বলছে তোমরা বাসায় থেকো আমি যাব আর আসব।কিন্তু ছানা দু’টি বায়না করেছে মায়ের সাথে আহার সংগ্রহ করতে যাবে।মা ঘুঘু সন্তানদের সঙ্গে নিতে রাজি নয়।তাদের অনেক বুঝিয়েও কাজ হলো না তারা যাবেই যাবে।মা ঘুঘু চিন্তা করলো যে নিয়েই যাই জন্মের পর থেকে বাসার ভিতর থেকে থেকে প্রায় কান্ত। নিয়ে গেলে আকাশটা দেখতেও পারবে তার সাথে আহার সংগ্রহের কিছু ধারনাও হবে।ভবিষ্যতে ছানাদের কাজে দেবে।নানা দিক ভেবে চিন্তে ছানা দু’টিকে সঙ্গে নিয়ে উড়ল মা ঘুঘু। আকাশে উড়াল দিতে পেরে মায়ের সাথে তারা খুশি।খোলা আকাশে মনের সুখে উড়ছে।উড়তে উড়তে একটা সময় কান্ত হয়ে যায় ছানা দু’টি।তখন মা ঘুঘু বলে ঠিক আছে বাছারা তোমরা আর একটু সামনে গেলে শিমুল গাছ পাবে সেখানে বিশ্রাম করবে।তারপর সবাই শিমুল গাছে বিশ্রাম করছে।এমন সময় ছানা দু’টি দেখতে পাচ্ছে তাদের শিমুল গাছে আরও অনেক প্রজাতির পাখি বসে আছি।একেকজন এ ডাল হতে ও ডালে নেচে বেড়াচ্ছে কেউবা মধুর সুরে গান গাইছে।এগুলো দেখে ছানা দু’টি বলছে দেখ মা পৃথিবী কত সুন্দর।তোমার সাথে না আসলে জানতামই না।এই বলে তারা আবার রওনা করলো সেই মই পড়া সরষে েেত।উড়তে উড়তে সেই গন্তব্যস্থলে পৌছালো তারা।দেখতে পেল গরু দিয়ে হাল চাষ করছে কৃষক সেখানে অনেক খাবার পরে আছে।মায়ের সাথে খাবার সংগ্রহে ব্যস্ত তারা অনেক খাবার পেয়েছে আজকে পেট ভরে খেয়েছে।
পরনে ঘটল বিপত্তি,হঠাৎ তারা পড়ে গেল শিকাড়ির কবলে।যার যার মত উড়ে পালিয়ে গেল কিন্তু মা ঘুঘু সন্তানদের না নিয়ে যাবে কি করে?তখন ছানা দু’টিকে উড়াল দিতে বলে মা পিছনে পিছনে যাচ্ছে।ততনে শিকাড়ির তীর এসে বিধল মা ঘুঘুর পেটে।একটা ডালে গিয়ে নুইয়ে পরে।ছানা দু’টি মায়ের কাছে এসে দেখে মায়ের শরীর ত বিত। ছানা দু’টি কেঁদে কেঁদে বলে মা তোমাকে ওরা মারল কেন?ওদের কি তি করেছ তুমি?ওরা ভাল না মা ওরা আমাদের অসহায় করে দিয়েছে।তুমি আমাদের ছেড়ে যেও না মা।তুমি চলে গেলে মনুষ্য জাতি গুলো আমাদের বাঁচতে দিবে না।এভাবেই ভেঙ্গে পড়ে ঘুঘু ছানার কান্নায়।