সিটি কর্পোরেশনের উচ্ছেদ অভিযানের সংবাদ সংগ্রহের সময় এক সংবাদকর্মীর ওপর হামলা চালিয়েছে পুলিশ। গুরুতর আহত ওই সংবাদকর্মীকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রংপুর নগরের আজাদ হোমিও হল সংলগ্ন ভাঙা মসজিদের কাছে এ ঘটনা ঘটে। আহত সংবাদকর্মী ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের ক্যামেরা পার্সন। এ ঘটনায় পুলিশ বাহিনী, জেলা প্রশাসন ও সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। হামলার ঘটনায় জড়িত থাকায় এএসআই সায়েমকে প্রত্যাহার করেছে মহানগর পুলিশ।
এদিকে ওই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, উচ্ছেদ অভিযান চলাকালে পুলিশের সাথে সাংবাদিকদের বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। এরই এক পর্যায়ে মহানগর পুলিশের সদস্যরা ক্ষিপ্ত হয়ে ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের ক্যামেরা পার্সন লিমন রহমানের ওপর সংঘবদ্ধভাবে চড়াও হয়ে লাঠিচার্জ, পেটে লাথি দেয়াসহ আঘাত করতে থাকেন। পরে উচ্ছেদ অভিযানে উপস্থিত থাকা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদ হাসান মৃধা পুলিশ সদস্যদের সরিয়ে দিয়ে সাংবাদিক লিমনকে রক্ষা করেন। পরে সাংবাদিকেরা আহত লিমনকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে তাকে দেখতে যান রংপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আবদুল আলীম মাহমুদ।
এদিক পুলিশি হামলার ঘটনায় বিক্ষুব্ধ সাংবাদিকরা সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে। পরে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অনুরোধে সড়ক অবরোধ তুলে নেন। একই সঙ্গে হামলায় দায়ী পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন তারা। এ ব্যাপারে টেলিভিশন ক্যামেরা জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন (টিসিএ), রংপুরের সভাপতি শাহ নেওয়াজ জনি বলেন, করোনাকালে পুলিশের যে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা অর্জন হয়েছে, তা এই ধরনের কর্মকাণ্ডের জন্য ম্লান হচ্ছে। পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় একজন সংবাদকর্মীর ওপর পুলিশের এমন সংঘবদ্ধ হামলার ঘটনায় আমরা মর্মাহত। ওই পুলিশ সদস্যদের উপযুক্ত বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। রংপুর মহানগর পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার আলতাব হোসেন বলেন, এ ঘটনায় তিনটি পৃথক তদন্ত কমিটি হয়েছে। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ বাহিনীর পক্ষ থেকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে। দোষী পুলিশ সদস্যরা অবশ্যই শাস্তির আওতায় আসবে।
জি/হিমেল