নিয়মবহির্ভুত এবং অপরিকল্পিতভাবে আর কাউকে ভবন নির্মাণ করতে দেওয়া হবে না বলেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী এবং ডিটেইল্ড এরিয়া প্ল্যান (ড্যাপ) মন্ত্রিসভা কমিটির আহ্বায়ক তাজুল ইসলাম ।
গতকাল রোববার (৮ নভেম্বর) সচিবালয়ে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষ ড্যাপের রিভিউয়ের লক্ষ্যে নবগঠিত মন্ত্রিসভা কমিটির প্রথম ও ১৫তম সভা শেষে এক সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন। তিনি বলেন, রাজধানী ঢাকাকে বাসযোগ্য, নাগরিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত, পরিকল্পিত অবকাঠামো নির্মাণ এবং ভূতাত্ত্বিক ও পরিবেশের বিষয় মাথায় রেখেই এখন থেকে নতুন ভবন নির্মাণ করতে হবে।
অপর এক প্রশ্নের উত্তরে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী জানান, সিটি করপোরেশনসহ যে সব প্রতিষ্ঠানের অন্তর্ভুক্ত প্রয়োজন সে সব প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে উপকমিটি গঠন করা হবে। তাজুল ইসলাম বলেন, ঢাকা নগরীকে বাসযোগ্য, মানবিক ও টেকসই নগরীতে পরিণত করতে একটি কর্মপরিকল্পনা তৈরি করা হবে।কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা কঠিন চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে নব গঠিত কমিটির সব সদস্য ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ নিরপেক্ষ, সাহসিকতা, সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দায়িত্ব পালন করলে একটি আধুনিক নগরী উপহার দেওয়া সম্ভব বলেও জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, সঠিক পরিকল্পনা অনুযায়ী আবাসিক, বাণিজ্যিক, হাসপাতাল, স্কুল-কলেজ, খেলাধুলার মাঠ, ইউটিলিটি সার্ভিস, যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং শপিং মলসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মাথায় রেখে একটি আবাসযোগ্য ও দৃষ্টিনন্দন শহর গড়ে তুলতে কাজ করবে কমিটি। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে আস্থা, বিশ্বাস এবং লক্ষ্য নিয়ে এ কমিটি গঠন করে দিয়েছেন, আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ হয়ে নিজেদের দেশপ্রেম, মেধা-শ্রম ও মূল্যবান মতামত দিয়ে কাজ করি তাহলে সেই লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব।
ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য বড় শহরগুলো পরিকল্পনা মাফিক অর্থাৎ মানুষের জন্য যে সব সুযোগ সুবিধা থাকা দরকার তা সংরক্ষণ করে নগরায়ন করা হয়নি উল্লেখ করে তাজুল ইসলাম বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পর বাসযোগ্য নগরায়নের যে উদ্যোগ নিয়েছিলেন ১৫ আগস্ট তাকে নির্মমভাবে শহীদ করার পর সে উদ্যোগ ব্যাহত হয়। এরপর যারা ক্ষমতায় এসেছেন তারা মানুষের কথা চিন্তা না করে অপরিকল্পিতভাবে নগরায়ন করেছেন নিজেদের স্বার্থে। সভায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন, ভূমিমন্ত্রি সাইফুজ্জামান চৌধুরী, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব/সচিব এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
জি/হিমেল