সন্ত্রাস, ধর্ষণ, দুর্নীতিসহ সরকারি দলের চলমান নানান অনিয়মসহ তাদের কর্মকাণ্ড দেশের মানুষের পছন্দ না-তা বুঝিয়ে দিতে ১২ নভেম্বর ধানের শীষে ভোট দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। ঢাকা-১৮ আসনের উপনির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী এস এম জাহাঙ্গীরের হাতে ধানের শীষ প্রতীক তুলে দেয়ার আগ মুহূর্তে সংক্ষিপ্ত এক পথসভায় তিনি এই আহ্বান জানান।
তিনি আরও বলেন, গত কয়েকদিন আগে ঢাকা-৫ আসনে ভোট হল। শতকরা ১০ ভাগ লোক গেছে সেখানে। শতকরা ৮ ভাগের মতো আওয়ামী লীগের লোক গেছে। সেখানে যদি শতকরা ১০ ভাগ বিএনপির লোক যেত তাহলে তো আমরা জিততে পারতাম। কাজেই আপনারা যত সংখ্যক ভোট কেন্দ্রে যাবেন ততো এই সরকারের বিপক্ষে যাবে রেজাল্ট। সেজন্যই সাধারণ ভোটাররা যাতে ভোট কেন্দ্রে না যায় তাদের সন্ত্রস্ত করে রাখা হয়। আপনারা আপনাদের অধিকার প্রয়োগ করার জন্য র্নির্বাচনে ভোট দিন এবং সেখানে আপনাদের মনের কথা বলুন।’
ঢাকা-১৮ আসনের ভোটাদের উদ্দেশ্যে বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন,‘সরকারকে বুঝতে দিন সরকার যা করছে সেটা সঠিক নয়। গণতন্ত্রকে ধ্বংস করা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিপক্ষে জনগণের স্বার্থহানি করা, দুর্নীতি করা, গুম, খুন নির্যাতন করা কোনো সরকার বা সরকারি দলের কাজ হতে পারে না। কাজেই এসব তাদের বন্ধ করতে হবে। আমরা সন্ত্রাসে বিশ্বাসী নই। কাজেই গণতন্ত্রের পথেই আমাদের হাঁটতে হবে। সেটা করার সুযোগ ১২ নভেম্বর। আপানাদের সবার পক্ষ থেকে এই ধানের শীষ এস এম জাহাঙ্গীর হোসেনের হাতে তুলে দিচ্ছি।
নজরুল ইসলাম বলেন, সমাজের প্রত্যেকটা পর্যায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে দিনদিন। কোনটা দলীয়করণ করে,কোনটা আত্মীয়করণ করে নসাৎ করে ফেলা হচ্ছে সব। রাষ্ট্রীয় যেসব সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান সবগুলোকে দুর্বল করে ফেলা হয়েছে, অকেজো করে ফেলা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন নামক একটা সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান নতজানু হয়ে পড়ে আছে। সরকার কী বলে এদিকে তাকিয়ে থাকে। বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান সমন্বয়ক আমান উল্লাহ আমান বলেন, ধানের শীষের পক্ষে যে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে তাতে করে আমাদের প্রার্থী এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন লক্ষাধিক ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করবে। কিন্তু ঢাকা-১৮ আসনের উপনির্বাচনে যদি ভোটারদের ভোট দিতে দেয়া না হয় তাহলে এখান থেকেই সরকার পতনের আন্দোলন শুরু হবে।
জি/হিমেল