ভেড়ামারার বাহিরচর ইউনিয়নের ১৬ দাগে তৈরি নকল জুস কারখানায় আজ দুপুরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহেল মারুফের নেতৃত্বে এক সাঁড়াশি অভিযান পরিচালিত হয়।
বিএসটিআই এর পরিদর্শক ও ভেড়ামারা থানার সাব ইন্সপেক্টর আবু সাঈদ সহ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান চালানো হয় বাহিরচর এলাকায় জাসদ নেতা জগলুর বাড়িতে। প্রশাসনের উপস্থিতি টের পেয়ে ঠিকানা সঠিক থাকলেও অস্বীকার করে মালিকপক্ষ। বন্ধ তালা খুলে প্রবেশ করে অভিযানিক টিম। সেখানে চোখেপড়ে তৃষ্না নামের জুস, ফ্যাক্টরীর ঠিকানা লেখা নেই।।
ফিল্টার মেশিনে পানির সাথে ঘনচিনি, কাপড়ের ক্ষতিকর রঙ মিশিয়ে ছিপি বন্ধ করা হচ্ছে মেশিনে। সাথে নকল সিল ও ছাপানো ট্যাগ। নেই তাদের কোন অনুমোদন। বিএসটিআইয়ের সিল তাদের হাতে তৈরি। ঘনচিনি আর কাপড়ের রঙ কিডনির ক্ষতি করে ও ক্যান্সার রোগে সরাসরি ভূমিকা রাখে তাই এটা নিষিদ্ধ খাবারে, তবুও ব্যবহার করছে তারা।
সকল পণ্য জব্দ করে ধ্বংস করা হয়। মালিক জাসদ নেতা জগলু সরদারকে পাওয়া যায়নি ঘটনাস্থলে, আসার কথা বলে পালিয়ে যায় বলে জানা গেছে। ফ্যাক্টরী থেকে আটক করা হয় এর সাথে জড়িত জগলুর ২ ছেলেকে। বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড ও টেস্টিং ইনস্টিটিউশন আইন ২০১৮ মোতাবেক মালিক জগলু সরদারকে কে ১,০০,০০০( এক লক্ষ) টাকা অর্থদণ্ড করা হয়।
অনাদায়ে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড। অর্থদণ্ড আদায় সাপেক্ষে তার ২ ছেলেকে পরে ছেড়ে দেয়া হয়। ফ্যাক্টরি সিলগালা করে বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন।