কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার পান্টি ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি আনছার আলীর বাড়িতে কামরুজ্জামান (১৬) নামের এক স্কুল ছাত্রকে আটকে রেখে রড ও লাঠি দিয়ে রাতভর পিটিয়ে দশ হাজার টাকা মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনায় কুমারখালী থানা পুলিশ গত রাতে ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতির ছেলে শুকুর আলীকে গ্রেফতার করে। এবং রোববার ঘটনার সাথে জড়িত তাইজালকে গ্রেফতার ও তাকে প্রধান আসামী করে চারজনের নামে মামলা দায়ের করেন ওই ছাত্রের চাচা সোহেল। মামলা নং ১২ তাং- ১৮/১০/২০২০ ইং।
স্থানীয়, পরিবার ও পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, বুধবার রাত আনুমানিক সাড়ে ৯ টার দিকে পার্শ্ববর্তী ঝিনাইদহ জেলার শৈলকূপা উপজেলার সারুটিয়া ইউনিয়নের বুরুরিয়া গ্রামের কৃষক সমসের আলী’র ছেলে দশম শ্রেণির ছাত্র কামরুজ্জামান বোনের বাড়ির উদ্দেশ্যে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার পান্টি ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের মসজিদের সামনে পৌছালে ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি আনছার মিস্ত্রির ছেলে শুকুর আলী, বাবলু মোল্লার ছেলে রানা, মৃত মসলেম মোল্লার ছেলে তাইজাল ও আনোয়ার মাষ্টারের ছেলে রয়েল মোটরসাইকেল যোগে আওয়ামীলীগ সভাপতি আনছার মিস্ত্রির বাড়িতে তাকে নিয়ে আটকে রাখে। এরপর রড ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে স্কুল ছাত্রের পরিবারকে ফোন দেয়। ভোড় ৫ টার দিকে ফোন পেয়ে ছাত্রের চাচা বাদশা ও সোহেল রিক্সাযোগে দ্রুত সভাপতির বাড়িতে পৌছালে চাঁদাবাজ শুকুর তাদের নিকট ৫০ হাজার টাকা দাবী করে। টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে ক্ষিপ্ত হয়ে কামরুজ্জামানকে মেরে ফেলার , অথবা মাদক দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেবার হুমকি দেয়। পরে তারা হাত পা ধরে পরেরদিন বৃহস্পতিবার দুপুরে ১০ হাজার টাকা শুকুরের হাতে তুলে দিয়ে স্কুল ছাত্রকে নিয়ে কোনমতে প্রাণ নিয়ে বাড়ি ফেরেন।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুনুর রশীদ বলেন, স্কুল ছাত্রকে আটকে রেখে মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনায় মামলা হয়েছে।মুক্তিপণের টাকা উদ্ধারসহ প্রধান দুই আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।বাকিদের গ্রেফতার করতে পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে।তিনি আরো বলেন, মামলার বাদী ও পরিবারকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।