সারাদেশে সরকার ও প্রশাসন যখন ধর্ষণের বিরুদ্ধে জিরোট্রলারেন্স চালিয়ে যাচ্ছে ঠিক তখনই কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নে মাঝিরহাটে এক মেয়েরে সাথে ৭ মাস ধরে শারীরিক সম্পর্ক পর গর্ভপাতের অভিযোগ উঠেছে। জানাগেছে, কুর্শা ইউনিয়নের মাঝিরহাট গ্রামের মৃত সোহরাব মাস্টারের ছেলে বঙ্গবন্ধু আদর্শ ঐক্য পরিষদের কুষ্টিয়া জেলা সভাপতি নুরুজ্জামান পলাশ মোল্লা(৩৫) একই গ্রামের মৃত আঃ মালেকের মেয়ে তৃষার (ছদ্মনাম) সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। প্রেমের সম্পর্কের শুরু থেকেই ভুক্তভুগী মেয়েটির সাথে শারিরীর সম্পর্ক গড়ে তোলে অভিযুক্ত পলাশ।
প্রাশ ৭মাস ধরে এভাবে শারিরীক সম্পর্ক হওয়াতে একপর্যায়ে মেয়েটি গর্ভবতী হয়ে যায়। তবে এমন ঘটনা ঘটার পরও একাধিকবার মেয়েটির নিজ বাড়িতে গিয়ে শারিরীক সম্পর্ক করে সোহরাব মাস্টারের ছেলে নুরুজ্জামান পলাশ। তবে মেয়েটির গর্ভবতীর দিন যখন দিন দিন বাড়তে থাকে ঠিক তখনই মেয়েটি লোকলজ্জার ভয়ে বাচ্চাটিকে বৃহঃবার দুপুর ১২টার সময় নিজ বাসাতেই গর্ভপাত করান। পরবর্তীতে সেই নবজাতক বাচ্চাটিকে নিজ বাসার আঙ্গিনাতেই মাটিচাপা দিয়ে রাখে।
তবে নাম বলতে অনইচ্ছুক অনেকেই বলছেন, বাচ্চাটি গর্ভপাত করানোর পর বাচ্চাটি বেচে ছিলো, পরবর্তীতে নুরুজ্জামান পলাশ জোরপূর্বক মেয়েটিয়ে দিয়ে ওই নবজাতক বাচ্চাটিকে ঔষুধ খাওয়াইয়ে মেরে ফেলা হয় এবং পরবর্তীতে বাড়ির পাশেই এক ঝোপে মাটিচাপা দেওয়া হয়। এবিষয়ে ভুক্তভোগী তৃষার (ছদ্মনাম) সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমার সাথে পলাশের ৭ মাস ধরে প্রেমের সম্পর্ক। আর এই প্রেমের সম্পর্ক থেকেই আস্তে আস্তে শারিরীক সম্পর্কতে জড়িয়ে পড়ি আমরা। পলাশ আমার সাথে একাধিকবার আমার বাসাতে শারিরীক সম্পর্ক করেছে। তবে এর মধ্যেই আমি গর্ভবতী হয়ে যায়। এখন পলাশের সাথে আমার কোন যোগাযোগ হচ্ছেনা, আমার কোন খোজখবর রাখেনা।
আর তাই আমি বাধ্য হয়ে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার সময় নিজ বাড়িতেই গর্ভপাত কড়িয়ে নিজ বাড়ির আঙ্গিনাতে মাটিচাপা দিয়ে রাখি। তবে পলাশের ভাই আমাকে নানা মহলে চরিত্রহীনা বানানোর চেষ্টা করছে। মেয়েটির মা জানান, আমার মেয়ের সাথে পলাশের শারিরীক সম্পর্ক গড়ে ওঠার কারনেই আজ আমাদের এমন দশা। আমার স্বামী নেই, মা ও মেয়ে এই বাড়িতে থাকি। অভিযুক্ত পলাশের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তা সম্ভব হয়নি। তবে সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে বেশ কয়েকজন সহ পলাশের ভাই হাজির হয় মেয়েটির বাড়িতে। সেসময় তিনি জানান, এই মেয়ে একাধিক মানুষের সাথে অবৈধ সম্পর্ক রাখায় এমন দশা। আমার ভাই এর সাথে জড়িত না। তবে এলাকাবাসী বলছে, মেয়েটির পরিবার অনেক গরীব, আর তাই বাড়ি করতে পলাশ কিছুটা হেল্প করে। আর এই সুযোগ নিয়েই আস্তে আস্তে প্রেমেন সম্পর্ক গড়িয়ে এমন শারিরীক সম্পর্ক। অভিযুক্ত নুরুজ্জামান পলাশ কুর্শা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতা হান্নান মোল্লার ভাতিজা ও বঙ্গবন্ধু আদর্শ ঐক্য পরিষদের কুষ্টিয়া জেলা সভাপতি হওয়ায় এবং তার ভাই ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি হওয়াতে পরবিারটি ভয়ের মুখে পড়ে আছে। নির্যাতনের শিকার হয়েও তারা মুখ খুলতে পারছেনা। এবিষয়ে মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, ঘটনাটি শোনার সাথে সাথেই আমরা থানা থেকে অফিসার পাঠিয়েছি। সেইসাথে পরিবারটিকে লিখিত অভিযোগ দেবার অনুরোধও করেছি তবে মেয়ে বা মেয়েটির পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোন দেয়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে এমন ঘটনার পরও কেনো মেয়ে বা মেয়েটির পরিবার থেকে পুলিশি অভিযোগ এখনও করা হলোনা বিষয়টি নিয়ে শুশীল সমাজে এক ধ্র“বজাল সৃষ্টি হয়েছে। তবে বঙ্গবন্ধুর নামে গড়া ঐতিয্যবাহী সংগঠন বঙ্গবন্ধু আদর্শ ঐক্য পরিষদের কুষ্টিয়া জেলা সভাপতির মতো একটি পদে থেকে যদি এমন জঘন্য কাজ করে তাহলে সংগঠনটির সুনাম ব্যাপক ক্ষুন্ন হবে বলে মনে করা হচ্ছে। কেউ কেউ মনে করছেন কোন অদৃশ্য শক্তির চাপেইকি মেয়েটির সাথে এমন ঘটনা ঘটার পরও আইনের আশ্রয়ে যাচ্ছেনা !!